বিজ্ঞাপন

অগ্রগামী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসা পেল ৩০০ জন

August 27, 2022 | 4:24 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ‘মানবিকতার সাথে মানুষের পাশে’ এই চেতনাকে ধারণ করে অগ্রগামী কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ অগজিলিয়ারি সার্ভিসেস ফর সোশ্যাল এডভান্সমেন্টের যৌথ আয়োজনে ৩০০ জন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষের মধ্যে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। কর্মসূচির সার্বিক সহযোগিতায় ছিল শেখ রাসেল ফাউন্ডেশন (ইউএসএ ইনক)।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (২৭ আগস্ট) সকাল ১০টায় গোপালগঞ্জ জেলার বানিয়ারচরের তালুবাড়ীতে এই কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়।

দিনব্যাপী আয়োজিত হওয়া এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও সুচিন্তা বাংলাদেশের যুগ্ম আহ্বায়ক কানতারা খান।

এসময় উদ্বোধকের বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার বাবা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান এই এলাকায় ২৭ বছর ধরে এমপি। তিনি সবসময় সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করেছেন। আর আমিও বলতে চাই, আমিসহ আমাদের পরিবার যেকোনো ভালো কাজে অবশ্যই পাশে থাকবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আমাদের সুচিন্তা বাংলাদেশও সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে কাজ করছে। মোটকথা, আমাদের সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে দেশের ও সাধারণ মানুষের মঙ্গলের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

স্বাস্থ্য ক্যাম্পে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ রাসেল ফাউন্ডেশনের (ইউএসএ ইনক) সভাপতি ডা. ফেরদৌস খন্দকার বলেন, সেবার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রজন্মকে আমরা শেখাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে অসহায় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করছে আমাদের ফাউন্ডেশন। আর আমাদের এই সেবাগুলো মানুষের কল্যাণের জন্য অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, মানুষ মানুষের জন্য। কাজেই আমাদের সবার দায়বদ্ধতা আছে। রাজনীতিবিদ, শিক্ষকসহ সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করলে তাহলে আমরা ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারবো।

বিজ্ঞাপন

ডা. ফেরদৌস খন্দকার বলেন, আমাদের ফাউন্ডেশন আরেকটি উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে, সেটি হলো- আমরা স্বাস্থ্য শিক্ষা সেমিনার করতে চাই। আর এর মাধ্যমে দেশের লাখো মানুষের কাছে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত নানা বিষয় ছড়িয়ে দিতে চাই।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ও গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের সদ্য সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান তানিয়া হক শোভা বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণ কর্মসূচি পালন সত্যিই অসাধারণ উদ্যোগ। মহতী এই কাজের জন্য আমি আয়োজকদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

তিনি বলেন, আমার কানতারা আপাও সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। অসহায় মানুষের কষ্ট তাকে গভীরভাবে ভাবায়। এজন্য মানুষের কষ্ট শুনলে তিনি সাথে সাথে ছুটে যান। আমি আপার এই দায়িত্ববোধের জন্য সাধুবাদ জানাই।

বিবার্তা২৪ডটনেটের সম্পাদক ও জাগরণ টিভির পরিচালক বাণী ইয়াসমিন হাসি বলেন, বঙ্গবন্ধুর গোপালগঞ্জে দাঁড়িয়ে আমি প্রথমেই বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করছি। ‘মানবিকতার সাথে মানুষের পাশে’ এই চেতনাকে ধারণ করে অগ্রগামী কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আজকের এই কার্যক্রমও তারই ধারাবাহিকতা।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সমতার কথা বলতেন, একটি শোষণহীন, বৈষম্যমুক্ত, ‌অসম্প্রদায়িক সমাজ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু সংগ্রাম করেছেন। কাজেই তাঁর এ স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য আমাদের দায়বদ্ধতা আছে। সমাজে আমরা যারা ভালো অবস্থানে আছি, তাদেরকে যার যার অবস্থান থেকে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করতে হবে।

বিবার্তার সম্পাদক আরও বলেন, করোনার সময়ে যখন সন্তান ভয়ে বাবা মাকে ধরতো না, এই কঠিন সময়ে ডা. ফেরদৌস খন্দকার নিউইয়র্কের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এদেশের মানুষের জন্যও নানা কাজ করে যাচ্ছেন। আমি তার এসব কাজগুলোকে স্বাগত জানাই। একইসাথে অনুষ্ঠানে উপস্থিত কানতারা আপার সুচিন্তা বাংলাদেশও শুভ বুদ্ধির চর্চা করে। সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। তানিয়া হক শোভাও যেভাবে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে সাধারণ মানুষের সেবা করছে, সেটাও আমাকে মুগ্ধ করে। বেদে পল্লী, তৃতীয় লিঙ্গের প্রান্তিক মানুষদের জন্য কাজ করে শোভা। আমাদের বিবার্তা২৪ডটনেট ও জাগরণ টিভি সবসময় এই ভালো কাজগুলোর পাশে থাকবে।

বাসা এর নির্বাহী পরিচালক মমতা অধিকারী বলেন, মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা সবার থাকে না। যা এই অগ্রগামী কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের আছে। এই ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম যেন আরো বৃদ্ধি পায়, সেজন্য শুভকামনা রইলো।

এ.সি.ডি.এফের চেয়ারম্যান রাজীব বালার সভাপতিত্ব এবং এ.সি.ডি.এফের পরিচালক রুখসানা পারভীনের সঞ্চালনায় বিনামূল্যের এই মেডিকেল ক্যাম্পে এ.সি.ডি. এফের পরিচালক তারিকুজ্জামান সেখ, এ.সি.ডি.এফের পরিচালক মাধবী মুন্সি, ডাক্তার, ভলান্টিয়ানরা উপস্থিত ছিলেন।

দিনব্যাপী বিনামূল্যের এই চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণ কর্মসূচিতে সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন এই এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। তারা বলছেন, অসহায় মানুষের জন্য এটা খুবই ভালো উদ্যোগ। তারা এই কর্মসূচির ধারাবাহিকতা চান।

আয়োজকরা বলছেন, ৩০০ জনকে সেবা দেয়ার কথা থাকলেও পরে সারি সারি মানুষের সমাগম হয়। তবে আমরা কাউকে ফিরিয়ে দেইনি। আমাদের এই কর্মসূচি ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

সারাবাংলা/এসএসএ

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন