বিজ্ঞাপন

সাংবাদিকের ওপর হামলা: সেই রিভারসাইড হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ

August 11, 2022 | 11:57 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: নিবন্ধনহীন এবং ভুয়া চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনায় অভিযুক্ত কামরাঙ্গীরচরের এসপিএ রিভারসাইড মেডিকেল সেন্টার বন্ধের নির্দেশন দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদফতরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. শফিউর রহমানের সই করা এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়, এসপিএ রিভার সাইড মেডিকেল সেন্টারটি স্বাস্থ্য অধিদফতরে নিবন্ধিত নয়। অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান পরিচালনা বেআইনি বিধায় প্রতিষ্ঠানটির সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হলো।

তবে পরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অনলাইনে আবেদন করলে পরিদর্শন সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) বিএমডিসির নম্বর জালিয়াতি করে হাসপাতালটিতে একাধিক ভুয়া চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হন ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক হাসান মিসবাহ ও ভিডিও জার্নালিস্ট সাজু মিয়া।

সারাবাংলার অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৬ সাল থেকে একটি এনজিওর সহায়তায় হাসপাতালটির কার্যক্রম পরিচালনা করা হলেও এর কোনো নিবন্ধন ছিল না। স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় পরিচালনা করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। শুধু তাই নয়, হাসপাতালটিতে হওয়া অপ-চিকিৎসায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও এর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ কেউ জানাতে পারতেন না। এসব ক্ষেত্রে কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশের এসআই মিলন হোসেনসহ স্থানীয় প্রশাসন হাসপাতালটিকে আগলে রাখতেন।

অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, কোনো মেডিকেল কলেজে পড়ালেখা না করলেও বিএমডিসির নম্বর জালিয়াতি করে এখানে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছিলেন একাধিক ভুয়া চিকিৎসক। স্থানীয়দের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে খোঁজ নিতে গেলে দুইজন সাংবাদিককে পেটায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অভিযোগের জবাব না দিয়ে গত মঙ্গলবার উল্টো ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক হাসান মিসবাহ ও ভিডিও জার্নালিস্ট সাজু মিয়ার ওপরে হামলা করে ক্লিনিকটির মালিক ডা. ওসমান ও তার কর্মীরা। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে আবার পেটানো হয় সাংবাদিকদের।

বিজ্ঞাপন

কামরাঙ্গীর চর থানা পুলিশ কর্মকর্তারা এমন অভিযোগ অস্বীকার করলেও এসআই মিলন হোসেনের কর্মকাণ্ডে লজ্জিত হওয়ার কথা জানায়। এরপর প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্সের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. বেলাল হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, লাইসেন্সের মেয়াদ ছাড়াও হাসপাতাল পরিচালনা করার বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। খুব দ্রুতই আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে পারব। আজকেই আমরা টিম পাঠাচ্ছি।

লাইসেন্সে মেয়াদ ছাড়া হাসপাতাল পরিচালনার বিষয়ে কিছুই জানতেন না বলে জানিয়েছেন কামরাঙ্গীরচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান। এসআই মিলন হোসেনের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির আলাদা কোনো যোগাযোগ আছে কিনা সে বিষয়েও কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে মিলন হোসেন যা করেছে তার জন্যে আমরা লজ্জিত। এটি খুবই আনাড়ির মতো কাজ করেছে যা মোটেও গ্রহণযোগ্য না।’

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

মেয়াদহীন লাইসেন্সে ‘পুলিশ ম্যানেজ’ করে চলছিল এসপি রিভার হাসপাতাল

সারাবাংলা/এসবি/একে

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন