বিজ্ঞাপন

ইদের ছুটিতে পর্যটক কম রাঙ্গামাটিতে

July 13, 2022 | 11:01 am

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

রাঙ্গামাটি: ইদকে ঘিরে পার্বত্য শহর রাঙ্গামাটিতে পর্যটকদের ব্যাপক সমাগম হওয়ার প্রত্যাশা থাকলেও সেটা অনেকটাই ফিকে হয়েছে। কাঙ্ক্ষিত পর্যটক না আসায় হতাশ হয়েছেন পর্যটন খাতসংশ্লিষ্টরা। ইতোমধ্যেই পর্যটক না আসার বেশকিছু কারণও উদ্ঘাটন করেছেন তারা।

বিজ্ঞাপন

রাঙ্গামাটির স্থানীয় আবাসিক হোটেল-মোটেলগুলো অন্যান্য বছরে টানা ছুটি ও ইদের সময়ে শতাধিক বুকিং থাকলেও এবার ৬০-৭০ শতাংশে বেশি রুম বুকিং হয়নি। অন্যান্য বছরের মতো পর্যটকদের চাপ ছিল না এবার। বর্ষা মৌসুমের কারণে সুবলং জলপ্রপাতে পানি থাকায় পর্যটক ও স্থানীয়দের একটি অংশ কাপ্তাই হ্রদ ও সুবলং ঝরনায় ঘুরেছেন। তবে রৌদ্রের খরতাপের কারণে সাধারণত হ্রদে ট্যুরিস্ট বোট নিয়ে ঘুরতে কম দেখা গেছে পর্যটকদের। একই অবস্থার মুখোমুখি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সাজেক কটেজ-রিসোর্ট ব্যবসায়ীরা।

খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইদুল ফিতরের চেয়ে ইদুল আজহাতে সবসময়ই পর্যটকদের সমাগম কম হয়ে থাকে। কোরবানির ইদে কমবেশি বেশিরভাগ মুসলিম পরিবার পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন। এ ব্যস্ততার কারণে অনেকেই বাইরে বেড়াতে আসেন না। আবার এবার বৃষ্টিপাত ও রোদের তাপে ভারী গরমের কারণে পর্যটক না আসাও অন্যতম একটি কারণ। আবার বিশেষত সিলেট অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি ও আসন্ন এসএসসি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করেও অনেক মানুষ এবারের ইদে পাহাড়ে বেড়াতে আসেননি।

বিজ্ঞাপন

সোমবার ও মঙ্গলবার রাঙ্গামাটি শহরের বিভিন্ন পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, এবার পর্যটকদের তেমন আনাগোনা নেই। যারাই পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে ভিড় জমিয়েছেন, তাদের বড় অংশই স্থানীয়। অনেকেই ইদের ছুটিতে পরিবারের লোকজনকে একসঙ্গে সময় দিতে এখানে ছুটে এসেছেন।

আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়কে অবস্থিত বার্গী লেক ভ্যালির পরিচালক বাপ্পী তঞ্চঙ্গ্যা জানান, খুবই ব্যস্ততার মধ্যে সময় কাটছে। পর্যটকদের গুনগত সেবা প্রদান করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।

রাঙ্গামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া জানান, এখন মোটামুটি মানুষজন আসছেন। ইদের দিন ও পরদিন পর্যটন কিছুটা কম ছিল। এখন আমাদের হোটেলের ৬০ শতাংশ রুম বুকিং রয়েছে। আর প্রতিদিন ঝুলন্ত সেতুতে গড়ে এক থেকে দেড় হাজার মানুষ টিকেট কেটে প্রবেশ করেছেন।

বিজ্ঞাপন

রাঙ্গামাটির হোটেল নাদিশা ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপক মো. শাহিনুল ইসলাম জানান, ৮ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত মোটামুটি আমাদের হোটেলের রুম বুকিং ফিলাপ রয়েছে। বলা যায় এবারের ব্যবসায়িক অবস্থা মোটামুটি।

সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জুমঘর ইকো রিসোর্টের স্বত্ত্বাধিকারী জেরি লুসাই জানান, বুধবার সাজেকের রিসোর্ট-কটেজগুলো বুকিং আছে। এর আগের দিনগুলোতে ৫০ শতাংশের বেশির ভাগই খালী পড়ে ছিল। আবার দুদিন পর থেকেও এই দশা হবে। এবারের ইদে সাজেকে খুব বেশি চাপ ছিল না পর্যটকদের।

ট্যুরিস্ট পুলিশের রাঙ্গামাটি অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. সারওয়ার হোসেন জানান, এবারের ইদে বৃষ্টি ও গরমের কারণে অন্যান্য সময়ের তুলনায় পাহাড়ে পর্যটকদের সমাগম কম হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর আমরা পাইনি। ট্যুরিস্ট পুলিশ পর্যটকদের সেবায় নিরলসভাবে কাজ করছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন