বিজ্ঞাপন

আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

May 7, 2022 | 6:17 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

গাজীপুর: ভাওয়াল বীর প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা, সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপির ১৮তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে। শনিবার (৭ মে) সকালে তার নিজ বাড়ি হায়দরাবাদ গ্রামে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের কবরে পরিবারের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

এ সময় পবিত্র কোরআনখানি, কালো ব্যাচ ধারণ, মিলাদ, দোয়া মাহফিল করা হয়। শনিবার সকাল ১০টায় শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনে করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।

শনিবার (৭ মে) সকাল ১০টায় শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনে করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও গাজীপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি, গাজীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আজমত উল্লাহ খান শ্রদ্ধা জানান।

এরপর গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ এম জাহিদ আল মামুন, গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. বিল্লাল হোসেন, গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মশিউর রহমান সরকার বাবু, আওয়ামী লীগ নেতা হাসানুল বান্না মজু, সাবেক পূবাইল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. মোস্তফা কামালসহ আরও অনেকেই শহীদ নেতার কবরে শ্রদ্ধা জানান।

বিজ্ঞাপন

আহসান উল্লাহ মাস্টারের বড় ছেলে এবং শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্মৃতি পরিষদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল তার পিতার ১৮তম শাহাদৎ বার্ষিকীতে তার পিতা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের জন্য দোয়া করতে সবার প্রতি অনুরোধ জানান।

আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছোট ভাই এবং গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মতিউর রহমান মতি বলেন, আহসান উল্লাহ হত্যা মামলা বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে। বিচারকার্য দ্রুত সমাপ্ত করে রায় কার্যকর এবং দেশের বাইরে পলাতক আসামিকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি করেন তিনি।

একইসঙ্গে জেলহাজতে থাকা আসামিদের বিরুদ্ধে দেওয়া রায় অবিলেম্বে কার্য়কর করা না হলে তারা আবার নতুন করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে বড় ধরনের ক্ষতি করার সম্ভবনা রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন মতিউর রহমান মতি।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার গাজীপুর-২ (গাজীপুর সদর-টঙ্গী) আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দুইবার সংসদ সদস্য। ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দু’দফা পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য, শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। আহসান উল্লাহ শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সস্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

২০০৪ সালের ৭ মে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মদদপুষ্ট একদল সন্ত্রাসী টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বেচ্ছাসেবক লীগের একটি কর্মীসভায় প্রকাশ্যে দিবালোকে আহসান উল্লাহ মাস্টারকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। পরে ২০০৫ সালের ১৬ মে এই মামলার রায়ে ২২ জনের ফাঁসি ও ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

২০১৬ সালের ১৫ জুন হাইকোর্ট ডিভিশন আসামিদের মৃত্যু পরোয়ানা, জেল আপিল ও আবেদনের শুনানি শেষে ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল এবং ৮ জনের যাবজ্জীবন বহাল রেখে ১১ জনকে খালাস দেয়। বিচার চলাকালে দুইজন আসামি মারা যাওয়ায় তাদের আপিল নিষ্পত্তি করে দেওয়া হয়। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত একজন পলাতক আসামির আপিল না থাকায় তার ব্যাপারে আদালত পূর্বের রায় বহাল রাখে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনএস

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন